আদি ও নব‍্য বিজেপি কর্মীদের মধ‍্যে তুমুল দ্বন্দ্ব : সাংসদের বৈঠকে চরম বিশৃঙ্খলা

22nd January 2021 9:28 am বর্ধমান
আদি ও নব‍্য বিজেপি কর্মীদের মধ‍্যে তুমুল দ্বন্দ্ব : সাংসদের বৈঠকে চরম বিশৃঙ্খলা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : বাবুল সুুপ্রিয় ও অরবিন্দ মেননের  উপস্থিতিতে আসানসোল এর বৈঠকে বিজেপির চরম বিশৃঙ্খলা। বিজেপির ন্যাশনাল সেক্রেটারি অরবিন্দ মেনন ও সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সামনে বিশৃঙ্খলা ও গোষ্ঠী কোন্দলে জড়ালো বিজেপি নেতা কর্মীরা। মূলত  বিজেপি জেলা কার্যালয় এ  বারাবনি ও কুলটি মন্ডলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠক চলাকালীন বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সদ্য সভাপতি অরিজিৎ রায়কে কেন্দ্র করে বিরোধিতা শুরু হয়। সম্প্রতি যে বিজেপি জেলা যুব মোর্চার কমিটি ঘোষণা হয়েছে এখানে বাদ পড়েছেন অনেকে।  যারা বাদ পড়েছে তাদের দাবি তারা পুরাতন বিজেপি কর্মী । কিন্থু তৃণমূল থেকে আসা কর্মীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। ফলে নব্য ও পুরাতন  বিজেপি যুব মোর্চার মধ্যে  বিবাদ লাগে।  পরিস্থিতির খবর বাইরে না ছড়িয়ে পরে সেজন্য জেলা কার্যালয়ের শাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে ভেতর থেকে গন্ডগোলের  আওয়াজ আসতে থাকে।  চিৎকার চেচামেচি শোনা যায়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে বিজেপি কর্মীদের একাংশকে দেখা যায় মারতে উদ্যত হতে। শেষ পর্যন্ত মাইক হাতে নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় ও  অরবিন্দ মেনন পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর বৈঠক শেষ হয়। তৃণমূল অবশ‍্য এ বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি । বর্ধমান শহরে নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙছে , আগুন ধরাচ্ছে আর আসানসোলে নিজেদের মধ‍্যে অশান্তি তৈরী করছে । আসলে গোটা দলটাতেই শৃঙ্খলা নেই । সব জায়গায় অশান্তি তৈরী করতে চাইছে তারা বলে অভিযোগ তৃণমূলের । বাবুল সুপ্রিয় বলেন , যারা অশান্তি করতে চাইছে তাদের চিহ্নিত করা হবে । তৃণমূল যে সমস্ত জায়গায় দখল করে পার্টি অফিস তৈরী করেছে তা ক্ষমতায় বিজেপি আসার পর আইন অনুসারে ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে । তখন এই ছেলেগুলোর বসার জায়গা থাকবে না ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।